চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে দারুণ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের লড়াই জমিয়ে তুলল রাজশাহী কিংস।
ক্ষণে ক্ষণে পাল্লা বদল হওয়া ম্যাচে একটা সময় মনে হচ্ছিল, বিপিএলে সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড গড়েই হয়তো জিতবে চিটাগং ভাইকিংস। এর আগে বিপিএলে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড ছিল সিলেট রয়্যালসের দখলে। ২০১৩ সালে রংপুর রাইডার্সের দেয়া ১৯৮ রানের টার্গেট তাড়া করে জিতেছিল তারা। তবে চিটাগং সেই রেকর্ড নিজেদের দখলে নিতে পারলো না।
বিশাল টার্গেট মাথায় নিয়ে খেলতে নেমে দলীয় ৩১ রানের সময় ৭ রান করা ক্যামেরন ডেলপোর্ট বিদায় নেন। তবে ইয়াসির আলীকে সঙ্গে নিয়ে আফগান হার্ডহিটার মোহাম্মদ শেহজাদ রানের চাকা সচল রাখেন। ৪৯ রানে শেহজাদ ফিরে যাওয়ার পরেও ইয়াসিরের ব্যাট লড়াই চালিয়ে যায়। তবে অধিনায়ক মুশফিক ২২ রানে ফেরার পরপরই ইয়াসির বিদায় নিলে বিপাকে পড়ে চিটাগং। আসা যাওয়ার মধ্যেই ছিলেন মোসাদ্দেক। তবে বিপদে পড়া দলের হাল ধরেন জিম্বাবুইয়ান সিকান্দার রাজা।
শেষ তিন ওভারে চিটাগংয়ের জয়ের জন্য দরকার ছিল ২৭ রান। ১৮ তম ওভারে মোস্তাফিজ মাত্র ৭ রান দেন। ১২ বলে ২১- সমীকরণ কিছুটা কঠিন হয়ে যায় রাজা- নাজিবুল্লাহ জাদরানদের জন্য। পরের ওভারে জাদরান আউট হয়ে যান। শেষ ওভারে ১৩ রানের সমীকরণ দাঁড়ায়। কাটার মাস্টারের এক ওভার তখনো বাকি। এই সময়ে তার থেকে ভালো অপশন যে আর হতে পারে না সেটারই প্রমাণ দিলেন মোস্তাফিজ। শেষ ওভারে দিলেন মাত্র ৫ রান। তুলে নিলেন ২ উইকেট। আর দলকে এনে দিলেন দারুণ এক জয়।
এ জয়ে সুপার ফোরের স্বপ্ন ভালোভাবেই জিইয়ে রাখলো রাজশাহী। ১০ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট দাঁড়ালো ১০। সমান পয়েন্ট ঢাকা ডায়নামাইটস, রংপুর রাইডার্স এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সেরও।
অনেকটা বাঁচা-মরার লড়াই ছিল রাজশাহী কিংসের। ঘরের মাঠে টস ভাগ্যও গেলো চিটাগং ভাইকিংসের দিকে। মেহেদী মিরাজকে আগে জনসন চার্লস এবং ক্রিস্টিয়ান জনকারদের ব্যাটে ভর করে ১৯৮ রানের পাহাড় তুলে দেয় কিংসরা।
শুরুটা ভালোই হয়েছিল। দলীয় ৫০ রানে ওপেনার সৌম্য সরকার ফিরে গেলেও ল্যারি ইভান্সকে সঙ্গে নিয়ে বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে যান আরেক ওপেনার জনসন চার্লস। দলীয় ১২০ রানের সময় ইভান্স ফিরে যাওয়ার পর অর্ধশতক হাঁকিয়ে আবু জায়েদের শিকারে পরিণত হন চার্লস। ২৭ রানে ডেসকাট রানআউট হলে ঝড় তোলেন ক্রিস্টিয়ান জনকার। রাজশাহী করে ১৯৮ রান।